আমাদের চ্যানেলে ঘুরে আসবেন SUBSCRIBE

সেরা রোমান্টিক উপন্যাস

উষ্ণ ছোঁয়া

আদুরি পাখি ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম™

সম্মানিত ভিজিটর আসসালামুয়ালাইকুম : আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভালোবাসার গল্প, কবিতা, মনের অব্যক্ত কথা সহ শিক্ষনীয় গল্প ইসলামিক গল্প সহ PDF বই পাবেন ইত্যাদি ।

  সর্বশেষ আপডেট দেখুন →

পিডিএফ বই | হুমায়ুন আহমেদ | বৃষ্টি বিলাস | উপন্যাস

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
বৃষ্টি বিলাস
হুমায়ূন আহমেদ


রিকশা থেকে নেমেই শামা দেখল তাদের বাসার বারান্দার কাঠের চেয়ারে কে যেন বসে আছে। কাঠের চেয়ারের পেছনের একটা পা ভাঙা। চেয়ারটা দেয়ালে হেলান না দিয়ে বসা যায় না। কিন্তু যে বসেছে সে চেয়ারটা বারান্দার মাঝামাঝি এনেই বসেছে। একটু অসাবধান হলেই উল্টে পড়বে। শামার বুক ধুকধুক করতে লাগল। যে-কোন সময় একটা একসিডেন্ট ঘটবে এটা মাথায় থাকলেই টেনশন হয়। শামার সমস্যা হচ্ছে সামান্য টেনশনেই তার বুক ধুকধুক করে। গলা শুকিয়ে যায়। এক সময় মনে হয় হাত-পা শক্ত হয়ে আসছে। নিশ্চয়ই হার্টের কোনো অসুখ। যত দিন যাচ্ছে, তার অসুখটা তত বাড়ছে। আগে এত সামান্যতে বুক ধুকধুক করত না, এখন করে।

গত সপ্তাহেই কলেজ থেকে ফেরার পথে সে দেখল কে যেন ঠিক রাস্তার মাঝখানে একটা

ডাব ফেলে রেখেছে। তার বুক ধুকধুক করা শুরু হলো। এই বুঝি একসিডেন্ট হলো।

ভাবের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে পড়ল রিকশা। রিকশার যাত্রী ছিটকে পড়ল সিট থেকে,

আর সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে একটা ট্রাক এসে তার ওপর দিয়ে চলে গেল। দৃশ্যটা শামা

চোখের সামনে স্পষ্ট দেখল, তার হাতপা হয়ে গেল শক্ত। নড়ার ক্ষমতা নেই। একসিডেন্ট

না হওয়া পর্যন্ত সে যেন নড়তে পারবে না। তার উচিত রাস্তায় নেমে ডাটা সরিয়ে দেয়া।

সেটাও সম্ভব না। কুড়ি বছর বয়েসী-রূপবতী একটা তরুণী রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করছে।

এই দৃশ্য মজাদার। চারদিকে লোক জমে যাবে। সবাই তার দিকে ডাবড্যাব করে তাকিয়ে

থাকবে। তাদের দৃষ্টিতে পরিষ্কার লেখা থাকবে 'ব্রেইন নষ্ট মেয়ে। ডাবটা সরিয়ে সে যখন

বাসার দিকে রওনা হবে তখন তার পেছনে পেছনে কয়েকজন রওনা হবে। মজা দেখার জন্যে যাবে। 'ব্রেইন নষ্ট মেয়ে' নতুন আর কী করে সেটা দেখার কৌতূহলেই পেছনে পেছনে যাওয়া। পাগল মেয়ের পেছনে হাঁটা যায়। তাতে কেউ দোষ ধরে না।

ভাঙা চেয়ারটায় বসে আছেন শামার বাবা আবদুর রহমান। তিনি মালিবাগ অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার। সন্ধ্যা সাতটার আগে কোনোদিনই বাসায় ফেরেন না। এখন বাজছে তিনটা দশ। অসময়ে বাসায় ফিরে বারান্দায় বসে আছেন বলে শামা দূর থেকে বাবাকে চিনতে পারে নি। তাছাড়া বাসায় তিনি যতক্ষণ থাকেন, খালি গায়ে থাকেন। আজ পরেছেন ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি। শামার বাবার মুখ হাসি হাসি। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে আনন্দময় কিছু ঘটবে, তার প্রতীক্ষায় চেয়ারে বসে তিনি পা দোলাচ্ছেন।

শামা বাবার দিকে তাকিয়ে আতঙ্কিত গলায় বলল, বাবা এই চেয়ারটার পেছনের পা ভাঙা। তুমি উল্টে পড়বে।

আবদুর রহমান আনন্দিত গলায় বললেন, পায়া ঠিক করেছি। তিনটা পেরেক মেরে দিয়েছি। তোর কলেজ ছুটি ঘেমে টেমে কী হয়েছিল। যা ঘরে গিয়ে। গোসল কর। আর তোর মা'কে বল আমাকে একটা পান দিতে।

শামা ঘরে ঢুকল। শামার মা সুলতানা মেয়েকে দেখেই বললেন, এত দেরি কেন রে?

শামা বিরক্ত হয়ে বলল, দেরি কোথায় দেখলে? দু'টার সময় কলেজ ছুটি হয়েছে? এখন বাজছে দুটা পঁচিশ।

যা গোসল করতে যা, বাথরুমে পানি, সাবান, তোয়ালে দেয়া আছে।
এই বইটা ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন। বইটি ডাউনলোড করুন

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পিডিএফ বই | হুমায়ুন আহমেদ | বৃষ্টি বিলাস | উপন্যাস এই পোস্ট টি পড়ার জন্য। আপনাদের পছন্দের সব কিছু পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.
A+
A-
দুঃখিত লেখা কপি করার অনুমতি নাই😔, শুধুমাত্র শেয়ার করতে পারবেন 🥰 ধন্যবাদান্তে- আদুরি পাখি