আমাদের চ্যানেলে ঘুরে আসবেন SUBSCRIBE

সেরা রোমান্টিক উপন্যাস

উষ্ণ ছোঁয়া

আদুরি পাখি ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম™

সম্মানিত ভিজিটর আসসালামুয়ালাইকুম : আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভালোবাসার গল্প, কবিতা, মনের অব্যক্ত কথা সহ শিক্ষনীয় গল্প ইসলামিক গল্প সহ PDF বই পাবেন ইত্যাদি ।

  সর্বশেষ আপডেট দেখুন →

যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো | পর্ব - ৪৮ | ভালোবাসার গল্প | উপন্যাস

যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো, উপন্যাস, রোমান্টিক উপন্যাস, ভালোবাসার সেরা রোমান্টিক গল্প, ভালোবাসার গল্প, প্রেমের গল্প, প্রেমের উপন্যাস, গল্প,
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated
যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো
লেখনীতে : নাফিসা তাবাসসুম খান 
৪৮.

মধ্যরাতে মেয়েকে কোলে নিয়ে রুম জুড়ে পায়চারি করছে তূর্য। গত এক ঘন্টা ধরে মেয়ের গলা ফাটানো কান্না থেমে সবেমাত্র তন্দ্রায় আচ্ছন্ন হয়েছে। মেয়েকে চোখ বুজতে দেখেই তূর্য একটা প্রশান্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। খুব সাবধানে তারিণীকে বেবি কটে শুইয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। পিছনে ফিরে তাকায় পৃথার দিকে। পৃথা জেগেই ছিলো। তূর্য নীরবে পৃথার পাশে এসে বসতেই পৃথা ফিসফিসিয়ে বলে উঠে, 

“ আপনি তারিণীর অভ্যাস খারাপ করছেন। মহারাণীর ডিমান্ড দেখেছেন? দু'দিনেই বাপের নেওটা হয়ে গিয়েছে। বাপের কোল ছাড়া অন্য কারো কোলে ঘুমাতে রাজি না ও। “ 

“ তো? আমার মেয়ে মন চাইলে হাজারটা ডিমান্ড করবে। পূরণের জন্য ওর পাপা এখনো বেঁচে আছে। “ 

পৃথা মুখ কুচকে বলে, 

“ যখন আপনি থাকবেন না তখন আপনার মেয়েকে সামলাতে আমার কাঠখড় পোহাতে হবে। “ 

তূর্য প্রশ্ন করে, 

“ আমি আবার কোথায় যাবো? “ 

“ দিনের অর্ধেক সময় যে অফিসে পাড় করেন ভুলে গিয়েছেন? পাপাও হসপিটাল থাকে। বাসায় আমরা মা মেয়ে একা থাকবো। আমাকে একদম জ্বালিয়ে মারবে। “ 

তূর্য নিঃশব্দে প্রাণখোলা হেসে হিসহিসিয়ে শুধায়,

“ তুমিও তো আমাকে বহু জ্বালাও পৃথা। আমার মেয়ে নাহয় তার কিছুটা শোধ তুললো। সইতে পারবে না? “ 

পৃথা ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তূর্যর হাসি দেখতে দেখতে অস্ফুটে জবাব দেয়, 

“ সব পারবো। “ 

পৃথার দৃষ্টি তূর্যর চোখ এড়ায় না। সেই ঘোর লাগা দৃষ্টি সে উপেক্ষাও করে না। এগিয়ে গিয়ে নিজের কোমল অধর ছোঁয়ায় পৃথার ললাটে। ললাট হতে ধীরে ধীরে গালে অত:পর পৃথার অধরে এসে থামে তা। পৃথার হৃদয় অচিনপুরে ছটফট অনুভূত হয়। মনের কোণে উঁড়ে বেড়ায় রঙ বেরঙের ভালোবাসার প্রজাপতি। সেই উড়ন্ত প্রজাপতির ফাঁক গলে পৃথা তূর্যর শার্টের কলার টেনে আরেকটু নিজের দিকে নিয়ে আসে। তূর্য পৃথার নরম শরীর টেনে নিজের আয়ত্তে নিয়ে অতি সঙ্গোপনে পৃথার ঘাড়ে চিবুক ছুঁইয়ে নরম স্বরে বলে, 

“ মেয়েকে ঘুম পাড়িয়েছি। এখন মেয়ের মায়ের পালা। “

__________

সকাল সকাল পশু কুরবানির মাধ্যমে তারিণীর আকিকার প্রাথমিক কাজটুকু সেড়ে ফেলা হয়েছে। সম্পূর্ণ নাম রাখা হয়েছে তারিণী রশীদ। আপাতত ছাদে বড়সড় হাড়িতে বাবুর্চির রান্না বান্না চলছে। বাড়ির পুরুষরা ছাদে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে ব্যস্ত। পুরুষরা জুম্মার নামাজটা মসজিদ হতে সেড়ে আসতেই খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হয়। 

পৃথার রুমে তারিণীকে কোলে নিয়ে বসে আছে তরী। আপনমনে ভাইজির সঙ্গে বলে যাচ্ছে ডিজনিল্যান্ড প্রসঙ্গে অনেক কথা। রুমে আরো উপস্থিত রয়েছে পৃথা এবং মধুমিতা। তারা তরীর আর তারিণীর আলোচ্য বিষয় গভীর মনে উপভোগ করে চলেছে। তরী আচমকা পৃথার দিকে ফিরে বলে, 

“ বাই দ্যা ওয়ে পৃথা খুব শীঘ্রই তোমার প্রমোশন হতে চলেছে। “ 

পৃথা আগ্রহী গলায় বলে, 

“ কিসের প্রমোশন বড় ভাবী? “ 

মধুমিতা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে তরীকে বলে, 

“ ভাবী প্লিজ। “ 

পৃথা সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকায়। তরী হেসে বলে, 

“ পৃথার কাছে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই মধুমিতা। পৃথা যে খুব সম্ভাব্য ফুপ্পি হতে চলেছে এটা খুব চমৎকার একটা সংবাদ। “ 

পৃথা অবাক হয়। বিস্মিত দৃষ্টি মেলে মধুমিতার দিকে তাকায়। অত:পর উল্লাসে ফেটে পড়ে চেঁচিয়ে উঠে, 

“ সত্যি ছোট ভাবী? “ 

পৃথার চিৎকারের জোরে তারিণী ভীত হয়। কিছুক্ষণ টলমল চোখে চেয়ে থেকেই অত:পর গলা ফাটিয়ে কান্না শুরু করে দেয়। তূর্য, শোভন, পার্থ হয়তো এদিকেই ছিলো। মেয়ের কান্না শুনতেই তূর্য দরজা নক করে তড়িঘড়ি রুমে প্রবেশ করে। তার পিছন পিছন প্রবেশ করে তারিণীর দুই মামাও। তূর্য মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে কান্না থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পৃথার দিকে এক পলক ফিরে প্রশ্ন করে, 

“ কান্না করছে কেনো? “ 

 পৃথা কিঞ্চিৎ ভয় নিয়ে জবাব দেয়, 

“ আমি একটু জোরে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম। ভয় পেয়ে হয়তো কাঁদছে। “ 

তূর্য রাগ হয় না। শান্ত গলায় বলে, 

“ সমস্যা নেই। এখনি চুপ হয়ে যাবে। “ 

শোভন পাশ থেকে পৃথার মাথায় গাট্টা মেরে বলে, 

“ এই ভূতনি। আর কখনো তোর পেত্নি মার্কা গলা নিয়ে আমার ভাগনির সামনে চিল্লালে তোকে একদম গাছে উল্টো লটকিয়ে রাখবো। “ 

পৃথা ফুসে উঠে বলে, 

“ আমার মেয়ের সামনে আমাকে আজেবাজে নামে ডাকবি না ছোট দা। “ 

“ একশো বার ডাকবো। কি করবি? “ 

“ তাহলে আমিও তোকে তোর বাচ্চার সামনে মামতো ভূত ডাকবো। “ 

শোভন হেসে বলে, 

“ আমার বাচ্চা কই পেলি? “ 

পৃথা নাক ফুলিয়ে বলে, 

“ ছোট ভাবী প্রেগন্যান্ট। খুব শীঘ্রই বাপ হচ্ছিস। “ 

পৃথার কথা শুনে পার্থ এবং তূর্য চমকালেও শোভন স্বাভাবিক থাকে। জবাবে বলে, 

“ এখনো কনফার্ম না। একটু পর হসপিটাল গিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসবো। “ 

তারিণী ইতিমধ্যে কান্না থামিয়েছে। তূর্য শোভন ও মধুমিতার উদ্দেশ্যে বলে উঠে, 

“ এডভান্স কংগ্রেচুলেশন। “ 

পার্থ তরীর কানের কাছে ফিসফিসিয়ে শুধায়,

“ বাপ হওয়ার বয়সে মামা, চাচা হয়ে যাচ্ছি ডাক্তার। আপনার কি মনে হয় না, আপনার ভাই এবং আমার ভাইকেও মামা, চাচা ডাক শোনার ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত আমাদের? “ 

তরী নিজের একটা কনুই দিয়ে পার্থর পেটে গুতা মেরে বলে, 

“ চুপ থাকো তো। “ 

শোভন হাতঘড়ি দেখে বলে, 

“ আমি বের হই তাহলে। হসপিটাল থেকে রিপোর্ট নিয়ে সোজা ফিরবো। “ 

তূর্য তারিণীকে পৃথার কোলে এনে দিয়ে বলে উঠে, 

“ দাঁড়াও। একসাথে যাই তাহলে। আমারও ওদিকে একটু কাজ আছে। “ 

শোভন মাথা নেড়ে বলে, 

“ আমি তাহলে নিচে গিয়ে ওয়েট করছি ভাইয়া। আপনি আসুন। “ 

বলেই শোভন আর মধুমিতা বেরিয়ে যায়। তাদের পিছুপিছু পার্থ আর তরীও বেরিয়ে যায়। পৃথা তারিণীকে সহ উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে, 

“ আপনি কোথায় যাচ্ছেন? “ 

“ এই একটু কাজ আছে। চিন্তা করো না। শোভনের সাথেই ব্যাক করবো। “ 

বলতে বলতে তূর্য আয়নার সামনে গিয়ে হেয়ার ব্রাশ দিয়ে চুল সামান্য ব্রাশ করে নেয়। অত:পর নিজের ওয়ালেট এবং ফোন প্যান্টের পকেটে নিয়ে পৃথার দিকে এগিয়ে এসে কোলে থাকা মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে পৃথার কপালে চুমু খায়। হেসে বলে, 

“ যাই। “ 

কথাটা বলে তূর্য সড়ে যেতে নিয়েও পারে না। তারিণী নিজের হাতের ছোট ছোট আঙ্গুল দিয়ে তার পাঞ্জাবির বুকের একপাশ খামচে ধরে রেখেছে। তূর্য মৃদু হেসে বলে, 

“ মা? পাপা তাড়াতাড়ি চলে আসবো। যেতে দাও। “ 

তারিণী তূর্যর পাঞ্জাবি ছাড়ে না। এতক্ষণ কেঁদে চোখ মুখ লাল করে রেখেছে সে। সেই টলমল করা ফোলা চোখ নিয়ে নিজের পাপার দিকে তাকিয়ে রয়। তূর্য নিজের হাতের সাহায্যে সাবধানে মেয়ের বাঁধন ছাড়ায়। অত:পর মেয়ের হাতের পিঠে চুমু খেয়ে পৃথার দিকে তাকিয়ে বলে, 

“ সাবধানে থেকো। আর তারিণীর খেয়াল রেখো। “ 

তূর্যর কথা পৃথার কাছে অদ্ভুত লাগে। সে চোখ ছোট করে বলে, 

“ এভাবে বলছেন কেন? “ 

পৃথার প্রশ্নের পিঠে তূর্য জবাব খুঁজে পায় না। এই কথাটা সে কেনো বললো সে নিজেও জানে না। তাই আর কিছু না বলে হালকা হেসে বেড়িয়ে যায়। 

__________

লিভিং রুম পেরিয়ে বাড়ির মেইন গেটের কাছে এসে দাঁড়িয়েছে শোভন ও মধুমিতা। শোভন মধুমিতার দিকে তাকিয়ে বলে, 

“ অস্থিরতা কমাও তো মধু। রিপোর্ট যাই আসুক আই হ্যাভ নো প্রবলেম। “ 

শোভনের কথায় মধু শান্ত হয় না। তার মনের অস্থিরতা বাড়ছে বৈকি কমছে না। এই অস্থিরতা কি শুধুমাত্র রিপোর্ট কি হতে পারে সেই বিষয়ের চিন্তা হতেই কাজ করছে? নাকি অন্যকিছু? শোভন মধুমিতার মুড ঠিক করার জন্য হেসে মৃদু গলায় গুনগুনিয়ে উঠে, 

“ ও মধু ও মধু
আই লাভ ইউ 
আই লাভ ইউ। “ 

সেই পরিচিত গান শুনতেই মধু হেসে দেয়। শোভন বলে, 

“ ফিরে এসে যেনো এই হাসিমুখটাই দেখি। “ 

বলেই শোভন উল্টো ঘুরে বেড়িয়ে যেতে নিলে আচমকা তার কদম নড়বড়ে হয়ে উঠে। পড়ে যেতে নিয়েও একটা শক্ত হাতের সাহায্যে সামলে নেয় নিজেকে। আফজাল সাহেব সামান্য ধমকে বলে উঠে, 

“ সাবধানে হাঁটো। “ 

শোভন মাথা নেড়ে আচ্ছা বলেই বেড়িয়ে যায়।

__________

একটা রেস্টুরেন্টে মুখোমুখি বসে আছে তূর্য ও শোভন। তূর্য কফির মগে চুমুক দিতে দিতে লক্ষ্য করে শোভনের চেহারার স্পষ্ট খুশির ঝলক। শোভন বারবার রিপোর্ট ফাইলটা দেখছে আর আপনমনে হাসছে। তূর্য বলে, 

“ বাড়িতে ফেরার পথে কিন্তু মিষ্টি নিতে ভুলো না শোভন। “ 

শোভন হেসে বলে, 

“ শুধু মিষ্টি বলছেন ভাই? আমি পারলে পুরো মিষ্টির দোকান তুলে নিয়ে যাই। “ 

তূর্য ফোনের স্ক্রিনে সময়টা দেখে নিয়ে বলে উঠে, 

“ আর বিশ মিনিট বসি আমরা। জুয়েলারি শপটা খুললেই ওখান থেকে তোমার বোন আর ভাগ্নির গিফট পিক করে বাসায় রওনা হবো আমরা। “ 

শোভন বলে, 

“ আমি ভাবছি মধুর জন্যও ওখান থেকে একটা কিছু গিফট নিয়ে নিবো। ও আমাকে এতো বড় গিফট দিচ্ছে, আমারও ওকে কিছু গিফট দেওয়া উচিত। “ 

“ শিওর। “ 

মধুমিতার অস্থিরতা এখন শোভনের উপর এসে ভর করেছে। তার ইচ্ছে করছে চিল্লিয়ে সবাইকে এই গুড নিউজটা জানাতে। বাসায় ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য্য কাজ করছে না তার মধ্যে। সবাইকে জানাতে না পারলেও অন্তত মধুকে তো এখনই জানিয়ে দেওয়া যায়। তাই না? এতে মধুর টেনশনও কমে যাবে।

যেই ভাবনা সেই কাজ। শোভন নিজের ফোনটা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলে, 

“ ভাইয়া আমি এক মিনিট একটা ইমপোর্ট্যান্ট  কল এটেন্ড করে আসছি। “

তূর্য বুঝতে পারে শোভনের গুরুত্বপূর্ণ কল কার উদ্দেশ্যে হতে পারে। সে হেসে মাথা নাড়ে। শোভন ফোন নিয়ে রেস্টুরেন্টের আউটডোর এরিয়ায় এসে দাঁড়ায়। ডায়াল করে মধুর নাম্বার। কিছুক্ষণের মধ্যেই কল রিসিভ হতে শোভন উৎফুল্ল গলায় বলে, 

“ আমরা প্যারেন্টস হবো মধু। রিপোর্ট পজেটিভ। “ 

ফোনের অপর পাশ হতে মধু কিছু বলে। শোভন হাসিমুখে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতে থাকে। আচমকা বেখেয়ালি বসত একজনের সাথে ধাক্কা লেগে তার হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়। শোভন সাথে সাথে সরি বলে ফোন তুলে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তার পাশ কেটে সেই আগুন্তকও ভিতরে প্রবেশ করে। সাথে সাথে শোভনের টনক নড়ে উঠে। সে দ্রুত ঘাড় ঘুরিয়ে কাঁচের দরজা ভেদ করে রেস্টুরেন্টের ইনডোর এরিয়ার দিকে তাকায়। এইমাত্র যেই ছেলেটার সাথে তার ধাক্কা লেগেছে তাকে বিচক্ষণ ভঙ্গিতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরখ করে। ছেলেটা তার চোখের সামনে দিয়েই সবগুলো টেবিল ক্রস করে ওয়াশরুমের দিকে চলে যায়। শোভন আবারও সতর্ক দৃষ্টি মেলে চারিদিকে তাকায়। সাথে সাথে তার শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে। দ্রুত ভিতরে প্রবেশ করে আগে নিজেদের টেবিলের কাছে যায়। তূর্যর কাছে গিয়ে তাড়া দিয়ে বলে, 

“ ভাই লিভ দিজ প্লেস রাইট নাও। সামনের মেইন এন্টারেন্স দিয়ে বের হবেন না। সবার অগোচরে তাড়াতাড়ি রেস্টুরেন্টের পিছন দিয়ে বেরিয়ে যান এন্ড কল দ্যা কপস। “ 

শোভনের আকস্মিক এতগুলো কথা শুনে তূর্য ঘাবড়ে যায়। চিন্তিত সুরে প্রশ্ন করে, 

“ কি হয়েছে শোভন? “ 

“ ভাই সময় নষ্ট করবেন না। যান প্লিজ। যাই হয়ে যাক না কেনো ভিতরে ফিরে আসবেন না। এট এনি কস্ট দ্রুত পুলিশ ফোর্সকে এখানে আসতে ইনফর্ম করুন। “ 

বলেই শোভন তূর্যকে টেনে তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের করার চেষ্টা করে। তূর্য বুঝে উঠতে পারছে না শোভন এমন কেন করছে। কিন্তু খুব সাংঘাতিক কোনো বিষয় ঘটতে চলেছে তা সে আঁচ করতে পারছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে সে শোভনের কাধে হাত রেখে বলে, 

“ টেক কেয়ার। আমাদের জন্য বাসায় সবাই অপেক্ষা করছে ভুলে যেও না। “ 

শোভন মাথা নাড়ে। তূর্য আর কিছু না বলে বেরিয়ে যায় দ্রুত। শোভন এক পলক তূর্যর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে নিজের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। অত:পর নিজের প্যান্টের পিছন হতে খুব সাবধানে একটা রিভলবার বের করে সবার আড়ালে ওয়াশরুমের দিকে এগিয়ে যায়।

চলবে… 

[ কপি করা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ ]

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যেই তোমার হাওয়া আমাকে ছুঁলো | পর্ব - ৪৮ | ভালোবাসার গল্প | উপন্যাস এই পোস্ট টি পড়ার জন্য। আপনাদের পছন্দের সব কিছু পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.
A+
A-
দুঃখিত লেখা কপি করার অনুমতি নাই😔, শুধুমাত্র শেয়ার করতে পারবেন 🥰 ধন্যবাদান্তে- আদুরি পাখি